আইএমএফ-এর মতে, বাংলাদেশের উচিত আরও নমনীয় বিনিময় হার গ্রহণ করা

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে যে, বাংলাদেশের উচিত তার মুদ্রা ভাণ্ডার গড়ে তোলার জন্য আরও নমনীয় বিনিময় হার গ্রহণ করা। সম্প্রতি দেশের বিদেশী মুদ্রা ভাণ্ডার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। আইএমএফ এর ঋণের তৃতীয় কিস্তি, যা ৪.৭ বিলিয়ন ডলার, পাওয়ার জন্য বিদেশী মুদ্রা ভাণ্ডারের লক্ষ্য পূরণ করা একটি শর্ত হিসাবে জোর দিয়েছে।

এশিয়া ও প্যাসিফিকের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন সংক্রান্ত একটি সাম্প্রতিক প্রেস ব্রিফিংয়ে, আইএমএফ-এর যোগাযোগ অফিসার হুয়ং ল্যান ভু বলেছেন যে, বাংলাদেশের বাহ্যিক স্থায়িত্ব বাড়ানো ও ভাণ্ডার জোরদার করতে নমনীয় বিনিময় হার গ্রহণ করা জরুরি। তিনি এটি জাতীয় ভবিষ্যতের জন্য একটি মূল অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

তার মন্তব্য বিদেশী মুদ্রা ভাণ্ডারের পতন সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে এসেছিল, যা সম্প্রতি ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেতে, বাংলাদেশকে বিদেশী মুদ্রা ভাণ্ডারের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। ২০২৪ সালের মার্চের জন্য আইএমএফ যে লক্ষ্য ঠিক করেছিল তা ১৯.২৬ বিলিয়ন ডলার ছিল, কিন্তু প্রকৃত ভাণ্ডার ১৬ বিলিয়ন ডলারেরও কম ছিল।

ঋণের প্রথম কিস্তি, যা ৩০ জানুয়ারি অনুমোদিত হয়েছিল, ২ ফেব্রুয়ারি ৪৪৭.৮ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করা হয়েছিল, এবং পরবর্তী কিস্তিগুলি ২০২৬ সাল পর্যন্ত নির্ধারিত। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের চতুর্থ কিস্তির জন্য আগামী জুনে নিট ভাণ্ডার ২০.২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে।

এটি বাংলাদেশের জন্য মুদ্রা ভাণ্ডারের ঘাটতি মোকাবেলা করা এবং আইএমএফের পরামর্শ অনুসারে বিনিময় হারের ব্যবস্থা জোরদার করার জরুরি।


Posted

in

by

Tags: